চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার যুব বহুমূখী সমবায় সমিতি লিঃ

নামঃ মোঃ জসিম উদ্দিন শেখ

পদবীঃ সভাপতি
কমিটি অবস্থানঃ ১২তম
কমিটি সময়কালঃ ০৪.০১.২০২৪ ইং হইতে চলমান

মোঃ জসিম উদ্দিন ১৯৮০ সালের ডিসেম্বর মাসে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সকদিরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আব্দুছ ছাত্তার শেখ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত ছিলেন। মাতা নূরজাহান বেগম গৃহিনী।
আপন বড়ভাইসহ স্থানীয় প্রতিবেশী সিনিয়র ভাইদের বেকারত্ব দেখে নিজে চাকরির পেছনে না ঘুরে চাকরি দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে স্নাতক ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত থাকা অবস্থায় তিনি এলাকার কয়েকজন শিক্ষিত বেকার যুবককে একত্রিত করে ১৯৯৮ সালে অনানুষ্ঠানিকভাবে এবং স্নাতক পাশ করার পর ২০০১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করেন চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার যুব বহুমুখী সমবায় লিঃ। তার উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল নেতৃত্বে মাত্র ১২,৩০০ টাকা মূলধন নিয়ে চালু হওয়া প্রতিষ্ঠানের বর্তমান মূলধন ১৫০ কোটি টাকারও বেশী। তার প্রতিষ্ঠান হতে গত ২০ বছরে প্রায় ৫,০০০ জন বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয় এবং বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা তৈরি করার সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৩ ও ২০১০ সালে তার নেতৃত্বাধীন চান্দ্রা সমিতি দেশের শ্রেষ্ঠ সমবায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবং শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে তিনি নিজে ২০০৮ সালে জাতীয় সমবায় পুরস্কারে ভূষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হতে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন। সফল তরুন উদ্যোক্তা হিসেবে তার সাফল্য নিয়ে বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক প্রথমআলো পত্রিকা ০৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে ”তুমুল তারুন্য” নামে ফিচার প্রকাশ করে এবং মাছরাঙ্গা টেলিভিশন ০৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে রাঙ্গা সকাল অনুষ্ঠানে লাইভ শো প্রচার করে। এছাড়াও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল এবং জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার সাফল্যগাঁথা প্রচার করে। তিনি জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে অসংখ্য পুরষ্কার ও সম্মাননা পদকে ভূষিত হন। তিনি বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিঃ পদক; জাতীয় সমবায় মেলা-২০১০ পদক; রবীন্দ্র-নজরুল সম্মাননা-২০১২ পদকলাভ করেন।এছাড়া তিনি উপজেলা প্রশাসন; ফরিদগঞ্জ; চাঁদপুর প্রেসক্লাব, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, চাঁদপুর রোটারি ক্লাব, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম; গ্রামীণ ফোন জাতীয় ইংলিশ উৎসব, চাঁদপুর কণ্ঠ, চাঁদপুর প্রবাহ, চাঁদপুর দিগন্ত, চাঁদপুর প্রতিদিন, চাঁদপুর দর্পণ, চাঁদপুর জমিন, আলোকিত চাঁদপুর, চাঁদপুর সংবাদ, সাপ্তাহিক আলোকিত ফরিদগঞ্জ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন অনন্যা নাট্য গোষ্ঠী, নৃত্যধারা, মেঘনা থিয়েটার, কল্পনা নাট্য একাডেমী, বর্ণচোরা নাট্য গোষ্ঠী, খেলাঘর আসর হতে সম্মাননা ক্রেস্ট লাভ করেন।

মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ব কমিয়ে উৎপাদক ও ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে তিনি ২০০৮ সালে চাঁদপুরে এসবি সমবায় বাজার নামে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করলে চাঁদপুর জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশে ব্যাপক সাড়া জাগায় এবং পরবর্তীতে তার মডেলটি অনুসরণ করে সমবায় বিভাগ হতে সারাদেশে সমবায় বাজার চালু করা হয়।
তিনি চান্দ্রা সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছাড়াও ১৫ বছরের বেশী সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন নং-পউসবি/প্রঃ শাঃ-৩/স-১৪/২০০৮/৪৩০; তারিখ ২২ জুন ২০১০ খ্রীঃ মূলে “সমবায় উন্নয়ন তহবিল জাতীয় পরিচালনা কমিটির” সদস্য হিসেবে দুই (২) বছরের জন্য এবং প্রজ্ঞাপন নং- ৪৭.০৩.২.০২৩.০৬১.০০২.২০১২.৩৮৪; তারিখ ০৬ আগস্ট ২০১৪ খ্রীঃ মূলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমবায় পুরস্কার “জাতীয় বাছাই কমিটির” সদস্য হিসেবে দুই (২) বছরের জন্য সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ০৩/০৫/২০১২ তারিখে সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত হয়ে “ বাংলাদেশ সমবায় বাজার কনসেটিয়াম” এর পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল অফ ক্রেডিট ইউনিয়নের আমন্ত্রণে ২০২৩ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ক্রেডিট ইউনিয়ন কনফারেন্স অংশগ্রহন করেন। এছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মনোনয়নে থাইল্যান্ড এবং এ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়ান কনফেডারেশন অব ক্রেডিট ইউনিয়নস এর আমন্ত্রণে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করাসহ তিনি বিভিন্ন সময়ে সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব সফর করেন।

তিনি চাঁদপুর প্রেসক্লাব, চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল, চাঁদপুর রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং রোটারী ক্লাব অব চাঁদপুরের আজীবন সদস্য। তিনি বিবাহিত ও ২ সন্তানের জনক।